আজকের মুদ্রা বিনিময় হারের সারাংশ
![]() |
| Ai generated image |
মার্কিন ডলার (USD) একটির বিনিময়ে প্রায় ৳ ১২১.৯৩ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং (GBP) একটির বিনিময়ে প্রায় ৳ ১৬২.৮১ দেওয়া হয়েছে।
ইউরো (EUR) একটির বিনিময়ে প্রায় ৳ ১৪১.৬৭ দেওয়া হয়েছে।
দেশ মুদ্রা ১ এককের দাম (বাংলাদেশি টাকায়)
যুক্তরাষ্ট্র ডলার (USD) ৳ ১২১.৯৩
যুক্তরাজ্য পাউন্ড (GBP) ৳ ১৬২.৮১
ইউরোপ ইউরো (EUR) ৳ ১৪১.৬৭
সৌদি আরব রিয়াল (SAR) ৳ ৩২.৪৬
ভারত রুপি (INR) ৳ ১.৪৭
সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম (AED) ৳ ৩৩.২৯
এইভাবে, বিদেশি মুদ্রার একক দাম আমাদের টাকার তুলনায় কত, তা জানলে ভ্রমণ, আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স এগুলো সহজ হয়।
কেন এসব হার পরিবর্তন হয়?
আমাদের দেশে মুদ্রার বিনিময় হার নিচে যেসব কারণে ওঠানামা করে সেগুলো ব্যাখ্যা করছি:
1. চাহিদা ও সরবরাহ
যখন বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বেশি হয় (যেমন আমদানির জন্য, বা প্রবাসীরা অর্থ পাঠাচ্ছেন) তখন সে মুদ্রার দাম বাড়ে এবং আমাদের টাকার বিপরীতে কম বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
2. ভিতর-দেশীয় অর্থনৈতিক অবস্থা
যেমন আমাদের রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ, আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য, মুদ্রাস্ফীতি— এসব বিষয় বিনিময় হারে প্রভাব ফেলে।
3. বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ
যেমন বড় অর্থনৈতিক শক্তির মুদ্রার মান পরিবর্তন হলে, বা রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা হলে সেই প্রভাব অন্য দেশগুলোর মুদ্রার বিনিময় হারে পড়তে পারে।
4. মুখ্য ব্যাংকের নীতি ও হস্তক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাংক কখনও কখনও মুদ্রার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হস্তক্ষেপ করে—যেমন বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি বা কিনে নিয়ন্ত্রণ করা।
বিষয়টি আমাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রবাসীসহ রেমিট্যান্স পাঠানো/গ্রহণ করা: আপনি যদি বিদেশ থেক আন বা পাঠান, তাহলে প্রতি ডলার বা অন্য মুদ্রায় কত টাকা পাবেন জানা জরুরি।
ভ্রমণ বা বিদেশি কেনাকাটা: যদি বিদেশ যাওয়া হয় বা অনলাইনে বিদেশি পণ্য কেনা হয়, তাহলে সেই মুদ্রার দর জানা থাকা ভালো।
আরম্ভ ও আমদানি-রপ্তানি: ব্যবসায়ী হিসেবে হলে, মুদ্রার হারের ওঠানামা খরচ ও লাভ উভয়কেই প্রভাবিত করে।
ব্যক্তিগত অর্থনীতি ও বিনিয়োগ: আপনার সঞ্চয় বা ব্যয়ের ক্ষেত্রে—যেমন বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন থাকে—তাহলে এই হার জানা থাকলে ঝামেলা কম হয়।
কিছু টিপস আপনার জন্য
ব্যাংক বা মুদ্রা এক্সচেঞ্জ হাউসে যাওয়ার আগে আজকের হার যাচাই করুন। কারণ এক্সচেঞ্জ ভেদে রেট ভিন্ন হতে পারে।
বড় অঙ্কের লেনদেন করার সময় একটু সময় নিয়ে অনলাইন রূপান্তরকারী ব্যবহার করে হিসাব করুন।
বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে শুধু রেট নয়, চালান (transaction) চার্জ বা কমিশন আছে কি না খেয়াল করুন।
মুদ্রার হারের ওঠানামা হয়—হঠাৎ গতিতে বাড়তে বা কমতে পারে। সময় নেয়া ভালো।
